রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা সংক্রান্তে কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা টিম ছায়া তদন্তে নামে। তদন্তে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের হয়ে আসে যাতে দেখা যায় যে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা সাধারণ মানুষের নিকট হতে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, ল্যাপটপসহ সংগে থাকা দামী-দামী মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিচ্ছে। মুলত তারা একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস/ট্রাক কাউন্টার/সড়কে এ গ্রুপের এজেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কোন ধনাঢ্য ব্যক্তি কিংবা ব্যবসায়ী রাজধানীতে প্রবেশ করলে তারা তাদের টার্গেট করে এবং মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের সুবিধামত নির্ধারিত স্থানে পৌঁছালে আটক পূর্বক সংগে থাকা সমস্ত কিছু ছিনিয়ে নেয়। এ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে র্যাব-২ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৪/০১/১৮খ্রিঃ তারিখ ১৯.৩০ ঘটিকায় র্যাব-২-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর থানাধীন গজনবী রোড, কলেজ গেইট সংলগ্ন, মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এর সামনে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা দৌঁড়ে পালানোর সময় (১) মোঃ শহীদুল ইসলাম, (২) মোঃ সুজন, (৩) মোঃ তসিফ, (৪) মোঃ আব্দুর রহমান, (৫) মোঃ সাঈদ, (৬) মোঃ সাজু, (৭) মোঃ রহমান দের গ্রেফতার পূর্বক তাদের নিকট হতে ০৩টি চাকু এবং একটি মোবাইল জব্দ করা হয়। এছাড়াও উক্ত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তার দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এছাড়া তাদের নিকট হতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও র্যাব-২ অভিযান অব্যাহত রাখবে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আসামীদের নাম-ঠিকানাঃ
(ক) মোঃ শহীদুল ইসলাম,পিতা-মৃত বদু মিয়া, সাং-কালিডাঙ্গা, থানা-রামগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুর।
(খ) মোঃ সুজন, পিতা-মোঃ মুক্তার হোসেন, সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর ডিএমপি ঢাকা।
(গ) মোঃ তসিফ, পিতা-মোঃ মিন্টু হাসান, সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর ডিএমপি ঢাকা।
(ঘ) মোঃ আব্দুর রহমান, পিতা-মোঃ মিন্টু হাসান, সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর ডিএমপি ঢাকা।
(ঙ) মোঃ সাঈদ, পিতা-মৃত শেখ দুলারা, সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর ডিএমপি ঢাকা।
(চ) মোঃ সাজু , সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর ডিএমপি ঢাকা।
(ছ) মোঃ রহমান, পিতা-মোঃ সেলিম, সাং-ঝাউলা হাটি চৌরাস্তা, থানা-কামরাঙ্গীচর ডিএমপি ঢাকা।
উদ্ধারকৃত মালামাল
ক। চাকু – ০৩ টি।
খ। মোবাইল – ০১ টি।
-বিজ্ঞপ্তি